জেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের শাল্লায় সরকারের দেয়া পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
বইগুলোর ক্রেতা ফেরিওয়ালা আবু সামাদ দাবি করেছেন, ১০ টাকা কেজি দরে ৪৮০ কেজি বই তিনি হাসিমিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে কিনেছেন সোমবার মধ্যরাতে। সে সময় অধ্যক্ষের সঙ্গে ছিলেন অফিস সহকারী কামরুল ইসলাম।
বইগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার কালিপদ দাস। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানিয়েছেন, বই বিক্রির অভিযোগ তদন্তে কমিটি করা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কান্দিগাও গ্রামের একটি টং দোকানে মঙ্গলবার সরকারি পাঠ্যবই দেখে কয়েকজন উপজেলা শিক্ষা অফিসে খবর দেয়। সুপারভাইজার কালিপদ দাস সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, ওই গ্রামের ফেরিওয়ালা আবু সামাদ বইগুলো ওই দোকানে দেন।
কালিপদ জানান, বইগুলো ছিল ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির। তিনি আবু সামাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানতে পারেন হাসিমিয়া মাদ্রাসা থেকে মধ্যরাতে এসব বই কেনা হয়েছে।
আবু সামাদ বলেন, ‘মাদ্রাসা সুপার আব্দুল মান্নানের কাছ থাকি বইগুলো ১০ টাকা কেজি ধরে কিনেছি, তিনি বলেছেন এগুলো পুরান বই কোনো সমস্যা হবে না।’
আব্দুল মান্নানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো বই বিক্রি করিনি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমি কমিটির লোক হলেও আমাদেরকে এসব বিষয়ে অবগত করা হয় না। তারা আমাকে বলেছিল মাদ্রাসার পুরোনো জিনিসপত্র বিক্রি করবে, কিন্তু আজকে শুনলাম তারা বই বিক্রি করেছে। আসলে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
শিক্ষা অফিস কর্মকর্তা কালিপদ দাস বলেন, ‘ফেরিওয়ালার কাছ থেকে বিক্রি করা সরকারি বই উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’